Chakaria, Cox’s Bazar | EIIN: 106195
Chakaria, Cox’s Bazar | EIIN: 106195
“Education is not Preparation of life, rather it is living” শিক্ষা শুধু জীবন প্রস্তুতির উপায় নয়, তা জীবন-যাপনের প্রণালীও বটে। শিক্ষাকে জীবনব্যাপি অনুসরণীয় প্রক্রিয়া হিসেবে দেখতে হবে এবং অভিজ্ঞতাকে শিক্ষা লাভের স্বাভাবিক কৌশল হিসেবে বিবেচনায় রাখতে হবে। আধুনিক শিক্ষা দর্শনে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিসত্তা বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তি স্বাতন্ত্রবোধ জাগ্রত করা এবং তাকে আত্মসত্তার আস্থাবান করে তোলাই শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
এ স্কুলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ–পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিত ও নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকমন্ডলী, অত্যাধুনিক পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ল্যাব ও ব্যবহারিক ক্লাস এবং অত্যাধুনিকস্মার্ট ক্লাস রুম। । এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে আধুনিক তথ্য ও বইসমৃদ্ধ লাইব্রেরি; যেখানে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বই।প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিমুক্ত এবং প্রকৃতিগতভাবে সাবলীল একটি আবাসিক প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষা কেবলমাত্র জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম নয়, বরং এটি মানবজীবনের পরিপূর্ণ বিকাশের অন্যতম প্রধান উপাদান। একটি জাতির উন্নতি নির্ভর করে শিক্ষার গুণগত মানের ওপর। প্রকৃত শিক্ষা কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি নৈতিকতা, মানবিকতা ও সৃজনশীলতার সংমিশ্রণ, যা একজন শিক্ষার্থীকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।
আমাদের বিদ্যালয়ের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধে গড়ে তোলা। সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহপাঠ্য কার্যক্রম এবং বাস্তবমুখী শিক্ষার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের মানসিক, শারীরিক ও নৈতিক উৎকর্ষ সাধনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।
এই প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম শক্তি হলো দক্ষ, প্রশিক্ষিত ও আন্তরিক শিক্ষকমণ্ডলী, আধুনিক বিজ্ঞানাগার, স্মার্ট ক্লাসরুম, এবং সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার। আমাদের বিদ্যালয় একটি সুসংগঠিত ও রাজনীতিমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য উৎকর্ষ অর্জনের উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরি করে।
আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষার্থীরা জ্ঞান, সততা ও মূল্যবোধের সমন্বয়ে ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ-এর ইতিবৃত্ত
মোহাম্মদ নুরুল মোস্তফা (সহকারী শিক্ষক-চকোবি)
‘চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ’ কক্সবাজার জেলার শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি বিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত বিদ্যালয়টি জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। পুরো জেলা এমনকি দক্ষিণ চট্টলাও এর আলোয় উদ্ভাসিত। প্রতিবছর পিইসি, জেএসসি ও এসএসসি-তে প্রায় শতভাগ পাসের পাশাপাশি সর্বাধিক সংখ্যক জিপিএ-৫, প্রাথমিক বৃত্তি ও জুনিয়র বৃত্তি লাভে জেলার শীর্ষস্থানে । অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে বিদ্যাপীঠ । কিন্তু এত অল্প সময়ে এতদূর পৌঁছাতে তাঁকে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক চড়াই-উতরাই। এ সাফল্যে যাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি কাড়ে, তিনি হচ্ছেন সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক প্রয়াত জনাব নুরুল কবির স্যার। তিনি নিজে যেমন নিরলসভাবে খেটেছেন, তেমনি তাঁর সহকর্মীদেরকেও খাটতে উৎসাহ ও প্রেরণা জুগিয়েছেন। সেই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেখা যেত-সূর্যোদয়ের অনেক আগেই তিনি বিদ্যালয়ে হাজির হয়ে সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন। আর বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য যা যা করা প্রয়োজন মনে করতেন, তার সবই তিনি যেভাবেই হোক তা করে যেতেন। তাঁর সেসব কাজের মধ্যে ছিল: শিক্ষার্থী সংগ্রহ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের অধিকতর ভালো ফলাফলে উৎসাহ প্রদান, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের যত্ন ও প্রেরণা যোগানো। আর তাঁকে সার্বক্ষণিক সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে গেছেন প্রতিষ্ঠাতা দাতা এবং বন্ধুমহল। যখনই প্রয়োজন হয়েছে তাঁরা তখনই পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। সহকর্মী শিক্ষক-শিক্ষিকাগণকে তাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগে উৎসাহ দান, এলাকার দল-মত নির্বিশেষে সকলকে বিদ্যালয়ের উন্নয়নে শরিক করা, সর্বোপরী বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে তিনিসহ প্রতিষ্ঠাতা দাতাগণ ঐক্যবদ্ধভাবে সদা সচেষ্ট ছিলেন।
"একজন প্রকৃত শিক্ষক শুধু পড়ায় না, শিক্ষার্থীদের চিন্তা করতে শেখায়।"
"বাঙালির ইতিহাস বুঝতে হলে সংস্কৃতিকে গভীরভাবে জানতে হবে।"
"যে জাতি তার সংস্কৃতি ও ইতিহাস ভুলে যায়, সেই জাতি নিজের পথও হারিয়ে ফেলে।"
"মানুষ স্বাভাবিকভাবেই জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী। শিক্ষাই সেই আগ্রহকে পূর্ণতা দেয়।"