Chakaria Korak Biddyapith

Chakaria, Cox’s Bazar | EIIN: 106195

Previous
Next

আমাদের ইতিহাস

চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ-এর ইতিবৃত্ত

মোহাম্মদ নুরুল মোস্তফা (সহকারী শিক্ষক-চকোবি)

‘চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ’ কক্সবাজার জেলার শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি বিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত বিদ্যালয়টি জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। পুরো জেলা এমনকি দক্ষিণ চট্টলাও এর আলোয় উদ্ভাসিত। প্রতিবছর পিইসি, জেএসসি ও এসএসসি-তে প্রায় শতভাগ পাসের পাশাপাশি সর্বাধিক সংখ্যক জিপিএ-৫, প্রাথমিক বৃত্তি ও জুনিয়র বৃত্তি লাভে জেলার শীর্ষস্থানে । অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে বিদ্যাপীঠ । কিন্তু এত অল্প সময়ে এতদূর পৌঁছাতে তাঁকে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক চড়াই-উতরাই। এ সাফল্যে যাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি কাড়ে, তিনি হচ্ছেন সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক প্রয়াত জনাব নুরুল কবির স্যার। তিনি নিজে যেমন নিরলসভাবে খেটেছেন, তেমনি তাঁর সহকর্মীদেরকেও খাটতে উৎসাহ ও প্রেরণা জুগিয়েছেন। সেই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেখা যেত-সূর্যোদয়ের অনেক আগেই তিনি বিদ্যালয়ে হাজির হয়ে সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন। আর বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য যা যা করা প্রয়োজন মনে করতেন, তার সবই তিনি যেভাবেই হোক তা করে যেতেন। তাঁর সেসব কাজের মধ্যে ছিল: শিক্ষার্থী সংগ্রহ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের অধিকতর ভালো ফলাফলে উৎসাহ প্রদান, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের যত্ন ও প্রেরণা যোগানো। আর তাঁকে সার্বক্ষণিক সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে গেছেন প্রতিষ্ঠাতা দাতা এবং বন্ধুমহল। যখনই প্রয়োজন হয়েছে তাঁরা তখনই পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। সহকর্মী শিক্ষক-শিক্ষিকাগণকে তাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগে উৎসাহ দান, এলাকার দল-মত নির্বিশেষে সকলকে বিদ্যালয়ের উন্নয়নে শরিক করা, সর্বোপরী বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে তিনিসহ প্রতিষ্ঠাতা দাতাগণ ঐক্যবদ্ধভাবে সদা সচেষ্ট ছিলেন।

যাত্রা শুরু যেভাবে:

সময়টি ছিল ১৯৮৯-৯০ সাল। বিদ্যাপীঠ-এর প্রতিষ্ঠাকালে এই এলাকায় শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা ছিল হাতে-গোনা। এলাকার অধিকাংশ মানুষ ছিল খেটে খাওয়া কৃষক, জেলে, দিন-মজুর, কসাই যাদের বেশির ভাগই জীবিকা নিয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকত, শিক্ষার দিকে মনোযোগ দেওয়ার উৎসাহবোধ করত না। তাদের মধ্যে যারা নিজেদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করতে চাইত, তাদের সামনেও ছিল নানা বাধা। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সমস্যা ছিল: বিদ্যালয়ের অপ্রতুলতা, যোগাযোগ ও আর্থিক সমস্যা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। যদিও এই এলাকায় দুইটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ছিল ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় আসন সংখ্যা ছিল খুবই নগন্য। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক পিতা-মাতা তাদের সন্তান-সন্ততিকে উচ্চ শিক্ষার লাভের সুযোগ দিতে পারতেন না। এমতাবস্থায় এলাকার কিছু শিক্ষিত, জনহিতৈষী ও সমমনা যুবক ‘ঝরে পড়া’ ও ‘শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত’ জনগোষ্টির জন্য একটা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে অনেক আলাপ আলোচনাও করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন জনাব আলহাজ্ব সিরাজুদ্দৌলা (সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক এম.ইউ.পি, লক্ষ্যারচর), জনাব ডাঃ জামাল উদ্দিন (প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, চ.কো.বি), জনাব হাজী আবু মো: বশিরুল আলম (প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি- পরিচালনা পরিষদ), জনাব আলহাজ্ব নুরুল কবির (প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক), জনাব এ.বি.এম সাকের (সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য- পরিচালনা পরিষদ ও সাবেক ব্যাংক ম্যানেজার), জনাব কমরেড নুরুল আবচার (লক্ষ্যারচর), জনাব মোজাম্মেল হক (সাবেক কাউন্সিলর, চকরিয়া পৌরসভা), জনাব আলাউদ্দিন আজাদ (সাবেক চেয়ারম্যান-লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন), জনাব আলহাজ্ব নুরুল হোছাইন (সাবেক এম.ইউ.পি-লক্ষ্যারচর), জনাব আব্দুর রাজ্জাক (সাবেক সিনিয়র শিক্ষক ও সাবেক হোস্টেল সুপার), জনাব আলহাজ্ব আনোয়ারুল হাকিম দুলাল (সাবেক চেয়ারম্যান, চকরিয়া পৌরসভা)।

তাঁরা ছিলেন সকলে পরস্পরের বন্ধু। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জনাব নুরুল কবির স্যার বন্ধুদেরকে সংগঠিত করেন। তাঁরা কয়েক বার সভাও করে বিভিন্ন দিক পর্যালোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিলেন একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। বিদ্যালয়ের নাম ঠিক করেন ‘চকরিয়া বিমানবন্দর বিদ্যাপীঠ’। বিমানবন্দর বিদ্যাপীঠ-এর প্রথম সভাপতি ছিলেন মরহুম আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী (প্রকাশ বাবু মিয়া), সহ-সভাপতি ছিলেন জনাব ডাঃ জামাল উদ্দিন আহমদ এবং সম্পাদক ছিলেন হাজী আবু মোঃ বশিরুল আলম । পরবর্তীতে সভাপতি নির্বাচিত হন মরহুম ডাঃ জামাল উদ্দিন আহমদ। এবার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পালা।

তাঁর যাত্রায় প্রথমেই দেখা দেয় স্থানের সমস্যা। বিভিন্ন জমির মালিকের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু কেউ রাজি হননি। অবশেষে জনাব কমরেড নুরুল আবচার এবং জনাব এ.বি.এম সাকের উভয়ই জনাব আব্দুর রাজ্জাক স্যারের বড় ভাই জনাব জহির আহমদ মিয়াজী (প্রকাশ গুরা মিয়া মিয়াজী) সাহেবের কাছে যান। কসাই পাড়ার পূর্বপার্শ্বে তাঁর একখণ্ড জমি ছিল। তাঁকে সেই জমিটার কথা বলা হল। তিনি জানালেন যে, এক ব্যক্তির নিকট জমিটা ইজারা দেওয়া হয়েছে। তখন তাঁরা ইজারা গ্রহীতার টাকা ফেরত দিয়ে জমি ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে নেন। ইজারা গ্রহীতাও এ মহৎ কাজে দ্বিমত করেননি। স্কুল প্রতিষ্ঠার ঘটনাটি এলাকায় সাড়া ফেলে দেয়। লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এলেন। তাঁদের মধ্যে জনাব আব্দুল জলিল ও জনাব আলমের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। জনসাধারণের কেউ দিলেন বাঁশ, কেউ দিলেন গাছ, কেউ বা টিন অথবা ছন। অন্যান্যরা শ্রম কিংবা সন্তান-সন্ততি দিয়ে এগিয়ে এলেন। শুরু হল নবযাত্রা। জনাব আলহাজ্ব সিরাজুদ্দৌলা (সাবেক এম.ইউ.পি, লক্ষ্যারচর) নিজ হাতে ফরম বিতরণ শুরু করেন। প্রথম বছরই ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় দুইশ’র মতো ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়। শুরু হল জ্ঞান বিতরণ। এভাবে বছর দুই/এক কেটে গেল ।

সে সময়ে ‘চকরিয়া কোরক কেজি’ নামে অনতিদূরে একটি কিণ্ডার গার্টেন ছিল। যা বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫ বছর আগে ১৯৮৫- ৮৬ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত। সেটি যাঁরা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তৎকালীন সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মানিত প্রধান শিক্ষক মরহুম নুরুল কবির চৌধুরী, হালকাকারার মরহুম খলিলুর রহমান, মরহুম মাওলানা এনামুল হক, জনাব এ.বি. এম সাকের, জনাব মাষ্টার আহমদ কবির, মরহুম মাস্টার হাবিবুর রহমান, মরহুম মাওলানা মাহমুদুর রহমান, মরহুম আমিনুল ইসলাম (আমিন মিয়া), জনাব ডাঃ ইউনুস, জনাব মাস্টার নুরুল ইসলাম, জনাব মাস্টার জয়নাল আবেদীন, জনাব নুরুল আবচার (পালাকাটা), জনাব হাজ্বী বশির আহমদ, জনাব ডাঃ জামালউদ্দিন আহমদ, জনাব মরহুম অধ্যাপক ফরিদুল আলম, জনাব অধ্যাপক বশির আহমদ, জনাব মরহুম হাজী নুর আহমদ সওদাগর সহ আরো অনেকে। চকরিয়া হাই স্কুল সরকারিকরণের ফলে পরবর্তীকলে ক্যাম্পাসের অভাব ও প্রধান শিক্ষকের অভাবে সেই কিণ্ডার গার্টেন স্কুলটি প্রায় বিলুপ্তের পথে ছিলো।

তখন ‘চকরিয়া বিমান বন্দর বিদ্যাপীঠ’ ও ‘চকরিয়া কোরক কেজি’-এর পরিচালনা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিলেন স্কুল দুইটি একত্রিত করণের। উভয় কমিটির সমন্বয় সাধন করে একটি নতুন কমিটিও গঠিত হয়। সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন জনাব ডাঃ জামাল উদ্দিন আহমদ, সম্পাদক নির্বাচিত হন জনাব হাজী আবু মোঃ বশিরুল আলম। সর্বসম্মতিক্রমে যুক্ত স্কুলের নাম নির্বাচিত হয় ‘চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ’। সেই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় জনাব নুরুল কবির স্যারকে।

পরিশ্রম ও একাগ্রচিত্ততার ফসল:

প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে সম্মানিত প্রধান শিক্ষকের ঐকান্তিক চেষ্টা, পরিশ্রম, দাতা প্রতিষ্ঠাগণের সার্বিক সহযোগিতা ও তদারকি এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের আন্তরিকতা ও পরিশ্রমের ফলে অল্প সময়ে নব প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি বৃহত্তর চকরিয়ায় সাড়া জাগায়। বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সর্বাধিক বৃত্তি লাভ বিস্ময় সৃষ্টি করে। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে ছাত্রছাত্রী ভর্তি

হতে আরম্ভ করে।

১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি নিম্ন মাধ্যমিক পর্যন্ত স্বীকৃতি পায়। আর স্বীকৃতির প্রথম বছরই জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় চারটি বৃত্তি লাভ করে। আর তারই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় বছর অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় জেলার সর্বোচ্চ বৃত্তি লাভ করে। বৃহত্তর চকরিয়া (চকরিয়া-পেকুয়া) থানার ১৫টি বৃত্তির মধ্যে ৮টিই বিদ্যাপীঠ অর্জন করে। পাঁচটি ট্যালেন্টপুল বৃত্তির মধ্যে চারটিই ছিল বিদ্যাপীঠের।

১৯৯৬ সালে বৃত্তি প্রাপ্তদের মধ্যে রিফাত তাহের এ্যানি, আসিফ ইকবাল রাজেশ, শারফিনে জান্নাত শিরোমনি ও মোহাম্মদ নুরুল মোস্তফা ট্যালেন্ট গ্রেডে এবং সাইফুল ইসলাম রাজন, নুরুল মোস্তফা, ফৌজিয়া ইয়াছমিন ঝুমু ও মিজবাহ উদ্দিন লিটন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি লাভ করে। বর্তমানেও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে সর্বাধিক বৃত্তিপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ-এর নাম অনন্য

১৯৯৭ সাল থেকে এই বিদ্যালয়ের নামে এস.এস.সি. পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও ১৯৯৩ সাল হতে বিভিন্ন স্কুলের নামে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। আর তৃতীয় বছরে এসেই অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে এস.এস.সি. পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কক্সবাজার জেলায় শীর্ষে অবস্থান করে। শারফিনে জান্নাত শিরোমনি মেধা তালিকায় ১৫তম স্থানসহ সর্বাধিক সংখ্যক স্টার মার্কস্ লাভ করে। স্টার মার্কস্ প্রাপ্তরা হল ফৌজিয়া ইয়াছমিন ঝুমু, আসিফ ইকবাল রাজেশ, মোহাম্মদ নুরুল মোস্তফা, মিজবাহ উদ্দিন লিটন ও এস.এম. মিছবাহ উল হক । তাই ১৯৯৯ সালটিকে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের ইতিহাসে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে ধরা হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই বিদ্যালয়ের সুনাম দ্রুতই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে এ বিদ্যালয়কে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।

শুধু মাধ্যমিক শাখা নয় প্রাথমিক শাখাও প্রতিষ্ঠাকালীন সময় হতে পুরো জেলায় শীর্ষে। প্রাথমিক বৃত্তি লাভে এটি সারা দেশেই তার অবস্থানের কথা বহুবার জানান দেয়। এখনও পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের তালিকায় আমাদের এই বিদ্যালয়টি জেলার শীর্ষস্থান দখল করে আছে। ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ২১৫ জন জিপিএ-৫ পেয়ে চট্টগ্রাম বোর্ডে ১০ম স্থান অর্জন করে এবং প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৩২ জন মেধা বৃত্তি লাভ করে ।

এক নজরে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ :

প্রতিষ্ঠা : ১৯৯০ খ্রি. নিম্ন মাধ্যমিক স্বীকৃতি : ১৯৯৪ খ্রি এমপিও-ভুক্ত নিম্ন মাধ্যমিক : ১৯৯৫ খ্রি: এমপিও-ভুক্ত মাধ্যমিক : ১৯৯৯ খ্রি: শ্রেণী : প্লে থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত

প্রাথমিক শাখার শিক্ষার্থী : প্রায় ৯০০ জন মাধ্যমিক শাখার শিক্ষার্থী : প্রায় ২০০০ জন প্রাথমিক শাখায় শিক্ষক-শিক্ষিকা মণ্ডলী : ২২ জন মাধ্যমিক শাখায় শিক্ষক-শিক্ষিকা মণ্ডলী : ৩৫ জন

চকরিয়া তথা তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় শিক্ষার হার ও মান বৃদ্ধিকল্পে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ তথা অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, দাতা, পরিচালক, শিক্ষকমণ্ডলী ও কর্মচারীবৃন্দ টিম স্পীরিট নিয়ে নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিশেষে প্রত্যাশা করি, বিদ্যালয়ের প্রচার ও প্রসারে এবং সুনাম বৃদ্ধিতে অতীতের মতো প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিদ্যালয়ের পাশে দাঁড়াবেন। বিভিন্ন পরামশের মাধ্যমে সার্বিক উন্নয়নে সাহায্য করবেন। আর বিদ্যালয়ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে সুপরিকল্পিত ভাবে এগিয়ে যাবে এবং এর ছোঁয়ায় সফল ও সার্থক মানুষ হয়ে বেরিয়ে আসবে, বের হবে আসবে ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

২০১২ সালে চকোবি- ১৯৯৯ ব্যাচ কর্তৃক প্রকাশিত ‘অনুরণন’ নামক স্মরণিকা হতে সংকলিত, পরিমার্জিত।